Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st জুলাই ২০২৫

শারীরতত্ত্ব ও চিনি রসায়ন বিভাগ

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শারীরতত্ত্ব ও চিনি রসায়ন বিভাগ আখের শারীরতাত্তিক গবেষণা ও  স্বাস্থ্যসম্মত গুড় তৈরীর প্রযুক্তির উপর কাজ করে আসছে। পরবর্তীতে আখের পাশাপাশি অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল (তাল, খেজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া) নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উক্ত বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বিভিন্ন মিস্টি জাতীয় ফসলের ফসল সংগ্রহ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা যেটি বর্তমান  সময়ে বিশ্বে একটি সময়ের চাহিদার প্রতিফলন। 

জনবলঃ

বর্তমানে শারীরতত্ত্ব ও চিনি রসায়ন বিভাগে মোট ০৪ জন বিজ্ঞানী আছেন। তন্মধ্যে ০১ জন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ০২ জন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ০১ জন  বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ড. মো: শামসুল আরেফীন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর কৃষি রসায়ন বিভাগ হতে “Influence Of Integrated Nutrient Management On The Yield And Quality Of Sugarcane” বিষয়ে পিএইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ড. মো: শরিফুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ফসল উদ্ভিদ বিভাগ হতে “Effects of light interception on successive intercropping in sugarcane” বিষয়ে পিএইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। জনাব ফারিয়া হোসেন শান্তা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফুড ইঞ্জিয়ারিং বিযয়ে এবং জনাব মো: আহসান হাবিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফসল উদ্ভিদ বিযয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

 

বর্তমান গবেষণার অগ্রগতিঃ

বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যাগ প্রবণ এলাকা তে  চাষাবাদের জন্য শারীরতত্ত্ব ও চিনি রসায়ন বিভাগ হতে  খরা সহিষ্ণু, জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু, বন্যা সহিষ্ণু ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ইক্ষুজাত বাছাই করা হয়েছে। দুর্যাগ প্রবণ এলাকায়  অন্যান্য ফসলের ফলন তেমন ভাল না হলেও আখের ফলনের কোন ঘাটতি হয় না। তাই কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয়। পরিপক্কতার ধরণ অনুযায়ী ইক্ষু কর্তন ও মাড়াই করা হলে অধিক চিনি/গুড় আহরন করা যায়। এ উদ্দ্যেশে পরিপক্কতা নির্ভর ইক্ষুজাত (যেমন: আগাম, মধ্যম ও দেরিতে পরপিক্ক) বাছাই করে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। বছরের সব সময় আখের রসের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে বোতলজাতকৃত আখের রস প্রস্তুত ও সংরক্ষণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ প্রযুক্তিতে জীবানুমুক্ত পরিবেশে আখের রস ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২০ মিনিট পাস্তুরাইজ করে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করা হয়। কক্ষ তাপমাত্রায় এই রস প্রায় ৫০ দিন এবং ০৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৯০ দিন রাখা যায়।  নন মিল জোনে উন্নত গুড় উৎপাদন উপযোগী  ইক্ষুজাত বাছাই করা হয়েছে। এ জাতগুলো থেকে আকর্ষণীয় রংয়ের এবং অধিক পরিমাণে গুড় পাওয়া যায়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্যসম্মত এবং অপেক্ষাকৃত কম আর্দ্রতাযুক্ত আখের দানাদার গুড় তৈরী ও প্যাকেজিং এর পদ্ধতি তৈরী করা হয়েছে। এগুলো কক্ষ তাপমাত্রায় দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। গুড় তৈরীতে পরিশোধক হিসেবে ক্ষতিকর রাসায়নিক এর পরিবর্তে বন ঢেঁড়স ও উলট কম্বলের নির্যাস এর ব্যবহার এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য এর পাউডার তৈরী করা হয়েছে। খেজুরের রস হতে স্বাস্থ্যসম্মত সিরাপ ও বিভিন্ন প্রকারের গুড় তৈরীর প্রযুক্তি রয়েছে। তালের রস হতে স্বাস্থ্যসম্মত গুড়, তাল মিছরি ও তালের মাস্কিট উৎপাদনের কাজ চলছে। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় একটি মিষ্টি ফসল “স্টেভিয়া” র পাতা হতে স্টেভিওসাইড (স্টেভিওল গ্লাইকোসাইড) নিষ্কাশন পদ্ধতির উপর গবেষণা চলছে। দক্ষিণাঞ্চলের মিষ্টি ফসল গোলপাতা হতে স্বাস্থ্যসম্মত গুড় তৈরীর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়াও বিতরণের উদ্দেশ্যে তাল ও খেজুরের চারা তৈরী করা হচ্ছে। আরেকটি মিস্টি জাতীয় ফসল হলো সুগারবিট। আমাদের দেশে ট্রপিক্যাল সুগারবিট আবাদ করে উক্ত সুগারবিট থেকে অপরিশোধিত চিনি উৎপাদন করার প্রযুক্তি রয়েছে।

শারীরতত্ত্ব ও চিনি রসায়ন বিভাগের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সমূহ